দুর্যোগ হলে দুর্ভোগের সীমা থাকবেনা চলনবিলে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ জরুরী

সিরাজগঞ্জ, নাটোর ও পাবনা জেলার ১০টি উপজেলা ব্যাপী বিস্তৃত এবং বন্যা ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকা হিসেবে চির পরিচিত ঐতিহাসিক চলনবিল এলাকার কোথাও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নেই বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, প্রায় প্রতি বছরেই বন্যাসহ নানা রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলনবিলের নিয়মিত ঘটনা। আর বড় ধরনের বন্যায় ঘরবাড়ি ডুবে গেলে বন্যা উপদ্রুত মানুষ ও সহায়-সম্পদ উদ্ধার করে অপেক্ষাকৃত উঁচু ও নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তর জরুরী হয়ে পড়ে। অথচ বর্তমানে গুরুদাসপুর উপজেলার রুহাই গ্রামে অনেক পূর্বে নির্মিত একটি মাত্র ছোট বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র থাকলেও যতœ ও সংস্কারের অভাবে তা অব্যবহার্য পড়ে আছে। এছাড়া বিশাল চলনবিলের আর কোথাও কোন বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নেই। দেশের উপকুলীয় অঞ্চলে যেমন শত শত দুর্যোগ আশ্রয় কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে। অনুরুপ চলনবিলে বিশেষ করে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মান অত্যন্ত জরুরী। কারণ, চলনবিলে প্রায় প্রতিবছর গ্রাম-জনপদ বন্যায় তলিয়ে গেলে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। অসংখ্য মানুষকে দূরবর্তী উঁচু এলাকায় পাড়ি জমাতে হয়। অথবা সরকারী বে-সরকারী উদ্যেগে বন্যা আক্রান্ত মানুষকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাকা ভবনে আশয়ের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। এটা নানা কারণে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সম্মত পর্যাপ্ত সুবিধাপূর্ণ ব্যবস্থা নয় বটে। বর্তমানে চলনবিলের প্রতিটি উপজেলায় অন্তত: ১০টি করে বন্যা নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হলে তা এই অঞ্চলের মানুষের বন্যাজনিত কষ্ট ও দুরাবস্থা লাঘবে সহায়ক হবে পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন।

 

সর্বশেষ সংবাদ