এবার দেশেই তৈরি হবে ৫০০সিসির মোটরসাইকেল

অবশেষে ৫০০ সিসির (ইঞ্জিনক্ষমতা) মোটরসাইকেল বাজারজাত করার সুযোগ পেলেন স্থানীয় উৎপাদকরা। সর্বশেষ আমদানি নীতিতে সর্বোচ্চ ৫০০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেলের যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ আমদানি ও বাজারজাতের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৪ এপ্রিল) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে দেওয়া নতুন আমদানি নীতি আদেশে (২০২১-২৪) এ কথা বলা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানি নীতিতে বেশি ইঞ্জিন ক্ষমতার মোটরসাইকেল উৎপাদনের এ সুযোগ দিল। আমদানি নীতি আদেশে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবন্ধিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান ৫০০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ আমদানি করতে পারবে। ১৬৫ সিসি সক্ষমতার মোটরসাইকেল আমদানি, উৎপাদন ও বাজারজাত করার অনুমোদন রয়েছে। এর বেশি সব ধরনের মোটরসাইকেল আমদানি নিষিদ্ধ। তবে পুলিশের ক্ষেত্রে ১৬৫ সিসির এ ঊর্ধ্বসীমার বিধান প্রযোজ্য নয়। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে নিবন্ধিত মোটরসাইকেল ছিল ৪ লাখ ১ হাজার ৪৫২টি। কোভিডের প্রভাবে ২০২০ সালে তা কমে ৩ লাখ ১১ হাজার ১৬টিতে দাঁড়ায়। ২০২১ সালে আবার তা কিছুটা বেড়ে হয় ৩ লাখ ৭৫ হাজার ২৫২টি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) নিজেই গত বছর সিসি সীমা তুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। বিশ্বের কোথাও এমন সিসিসীমা নেই জানিয়ে সংস্থাটি বলেছিল, ৩০০ বা ৫০০ সিসির মোটরসাইকেলে সর্বোচ্চ যে গতি তোলা সম্ভব, ১৬৫ সিসি মোটরসাইকেলেও একই গতি তোলা যায়। স্থানীয় মোটরসাইকেল শিল্পের বিকাশে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ইঞ্জিনক্ষমতার সীমা তুলে নেওয়া দরকার।

সর্বশেষ সংবাদ