ফেনীতে জাতীয় রোগী কল্যান সোসাইটির পক্ষ থেকে বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস পালিত 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি,বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস উপলক্ষে আজ  শনিবার ১২ নভেম্বর সকালে, বাংলাদেশের সকল মানুষের সুচিকিৎসা বাস্তবায়নের একমাত্র সংগঠন জাতীয় রোগী কল্যান সোসাইটির ফেনী জেলা শাখার  পক্ষ থেকে জেলা কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ কর্মসূচি সংগঠনের উপদেষ্টা ডা. শাহাদাৎ হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট গবেষক ও জাতীয় রোগী কল্যান সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য ডা.মুহাম্মাদ মোতাহের হোসাইন, বিশিষ্ট সমাজসেবক পারভেজ মাহমুদ সুমন।জেলা শাখার সদস্য মুহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম ভূঞার সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা শাখার সদস্য সচিব মুহাম্মাদ আবদুল মান্নান, চট্টগ্রাম জেলা শাখার সদস্য সচিব আনোয়ার হোসাইন সুমন সহ জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন,সারা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষকে শ্বাসতন্ত্রের জটিল এই অসুখ থেকে বাঁচানোর লক্ষ্যে জনগণের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি করতে দিবসটির গুরুত্ব অনেক।সারা পৃথিবীতে নিউমোনিয়ায় প্রতিবছর প্রায় ৪৫ কোটি লোক আক্রান্ত হয়। এতে মারা যায় প্রায় ৪০ লাখ রোগী। বাংলাদেশে প্রতি বছর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২৫ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়।আর উন্নয়নশীল দেশে নিউমোনিয়ার ব্যাপকতা বেশি। পাঁচ বছরের কম বয়সের শিশু ও বৃদ্ধরাই নিউমোনিয়ায় বেশি আক্রান্ত হয় এবং শিশুরা বেশি মারা যায়। তুলনামূলকভাবে নারীদের চেয়ে পুরুষরা এতে বেশি আক্রান্ত হয়।ক্রনিক ঠাণ্ডা লাগা, বুকে শ্লেষ্মা জমে থাকার সূত্র ধরেই পরতে হয় নিউমোনিয়ায়। বর্ষার পর হঠাৎ গরম তাতেই এই অসুখের প্রাদুর্ভাব বাড়ে। ঠাণ্ডা লাগলেই যে সবার নিউমোনিয়া হবে তা কিন্তু নয়, তবে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, মূলত বয়স্ক ও শিশুরাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।তাদের মতে, নিউমোনিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ খুব জ্বর। ওষুধে জ্বর নামলেও আবার ওষুধের প্রভাব কাটলেই হু হু করে বেড়ে যায় জ্বর। ১০৩-১০৪ ডিগ্রি উঠতে পারে জ্বর। এর সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ইত্যাদি তো থাকেই। অনেক সময় মাথা যন্ত্রণা, ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়া, খাওয়া-দাওয়ায় অনীহা এসবও নিউমোনিয়ার লক্ষণ। তবে নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীকে ছুঁলেই নিউমোনিয়ার জীবাণু শরীরে ছড়ায় না। তবে আক্রান্তের কাশি বা হাঁচি থেকে তা ছড়াতে পারে। তবে সর্দি-জ্বরের সঙ্গে নিউমোনিয়ার বেশ কিছু তফাৎ থাকে। একটু লক্ষ্য রাখলেই তাই রোগ নির্ণয় করা সহজ।চিকিৎসকের মতে,প্রাথমিকভাবে সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশি দিয়ে এই রোগ শুরু হলেও দেখা যায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জ্বর, শ্বাসকষ্ট বাড়ছে, কাশিও বাড়ছে। অনেক সময় জ্বরের ওষুধের কড়া ডোজে জ্বর নামলেও ফিরে ফিরে আসে তা। অবস্থা গুরুতর হলে কাশির সঙ্গে রক্তও উঠতে পারে।এসব লক্ষণ দেখা দিলেই দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। একমাত্র চিকিৎসকই বুঝতে পারেন ব্যক্তি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে কিনা। তবু নিশ্চিত হতে কিছু পরীক্ষা করাতে হয়।অনুষ্ঠান শেষে বিনামূল্যে  ঔষধ বিতরণ করা হয়।

সর্বশেষ সংবাদ