বেরোবি,(রংপুর): বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) চলমান ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় পারিতোষিক কমানোর সিদ্ধান্তের ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা। সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে “বি” ইউনিটের চতুর্থ শিফটের পরীক্ষা শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে বিক্ষোভের মুখে ১ম দিনের মত পারিতোষিক প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কর্মচারীরা সূত্রে জানা যায়, চলতি ভর্তি পরীক্ষার পারিতোষিক হিসেবে গতকাল রবিবার (২৬ নভেম্বর) ৩য় শ্রেণীর প্রত্যেক কর্মচারীকে শিফট প্রতি ৩শ’ টাকা করে দিনশেষে এক হাজার পাঁচশো টাকা এবং ৪র্থ শ্রেণীর প্রত্যেক কর্মচারীকে ২শ’৫০ টাকা করে এক হাজার টাকা প্রদান করা হয়। যা গত বছরের (২০১৬-১৭) ভর্তি পরীক্ষায় এই বছর থেকে এই হারে কর্মচারীদের পারিতোষিক প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে জানায় কর্মচারীরা।
এদিকে আজ সোমবার (২৭ নভেম্বর) ভর্তি পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষা শেষে হঠাৎ পারিতোষিকের বিষয়ে নতুন করে ঘোষণা দেন উপাচার্যের একান্ত সচিব (পিএস) আমিনুর রহমান। তিনি প্রতি শিফটের পারিতোষিক প্রদানের পরিবর্তে পাঁচ দিনের পরীক্ষা শেষে ৩য় শ্রেণির প্রত্যেক কর্মচারীকে ৩ হাজার টাকা ও ৪র্থ শ্রেণির প্রত্যেক কর্মচারীকে ২ হাজার ৫শ’ টাকা করে প্রদান করা হবে বলে ঘোষণা দেন। যেখানে একদিনে ৪র্থ শ্রেণীর প্রত্যেক কর্মচারী পাঁচশো ও ৩য় শ্রেণীর প্রত্যেক কর্মচারী ছয়শো টাকা করে পাবে।
আমিনুর রহমানের এমন ঘোষণায় অসন্তুষ্ট হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে কর্মচারীরা। এ সময় পারিতোষিক বৃদ্ধি না করে উল্টা কমানোর ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মচারী ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটির এক নেতা বলেন, উপাচার্যের পিএস আমিনুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই কর্মচারীদের পারিতোষিক ফি পরিবর্তনের ঘোষণা দেন। এতে কর্মচারীরা বিক্ষোভ করতে বাধ্য হয়।পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) ড. ফরিদ উল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে কর্মচারীদের পূর্বের ন্যায় পারিতোষিক প্রদানের সিদ্ধান জানালে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তিনি এসময় পারিতোষিক বৃদ্ধি করা হলে সবার একসাথে বৃদ্ধি করা হবে বলে জানান।এ বিষয়ে উপাচার্যের পিএস আমিনুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, তাদেরকে পূর্বের ন্যায় পারিতোষিক প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সামান্য ভুল বোঝাবুঝি থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল।
