প্রেস রিলিজ:২৩ এপ্রিল ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব বই-দিবস। পৃথিবীর প্রায় ১০০টি দেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। এই দিবসের অন্যতম উদ্দেশ্য তরুনদের বইপড়ায় আগ্রহী করে তোলার জন্য পাঠাভ্যাসের প্রসার ও সুযোগ বৃদ্ধি করা। বইপড়ার গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে আজ ২৩ এপ্রিল, সোমবার ২০১৮ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ‘পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি’র উদ্যোগে দেশের ২৫০টি উপজেলায় প্রায় ১২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বইপড়ার গুরুত্ব বিষয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ব বই-দিবস উপলক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ ও প্রদর্শনী, বই মেলা, র্যালি, বিতর্ক প্রতিযোগিতা/উপস্থিত বক্তৃতা ইত্যাদির আয়োজন করা হয়েছে।
ঢাকায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সম্মানিত সচিব মহোদয়, বাংলা একাডেমির সম্মানিত মহাপরিচালক মহোদয়, মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দের উপস্থিতিতে বই পড়া গুরুত্ব বিষয়ক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সারা দেশের মতো পিরোজপুর জেলায় পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর এবং ইন্দুরকানীসহ মোট তিন উপজেলায় ১৫৫ টি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০১৮ সালে এই উপজেলায় মোট ২৪০০০ হাজার ছাত্র-ছাত্রী বইপড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে। বিশ্ব বই-দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সহযোগিতায় ১৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশ্ব বই দিবসকে ঘিরে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে। বিশ্ব সাহিত্যে কেন্দ্রের জেলা সম্বনয়কারী রিপন আহসান জানান প্রতিষ্ঠানগুলো ২৩ এপ্রিল বিশ্ব বই দিবস আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন করেন এই আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীদের সুপ্ত লেখক স্বত্তাকে প্রকাশ করতে ক্ষুদে আকিয়েদের নিয়ে চমৎকার সব দেয়ালিকা প্রকাশ, কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছে এদিনটি স্মরণী করে রাখতে দিনের অগ্রভাগ জুড়ে বই পড়া সদস্যদের গল্পের বই পড়ানোর আয়োজন করেন। এসময় প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানেই নান্দনিক সব ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে আনন্দো র্যালী করে। পরে বইপড়ার গুরুত্ব বিষয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন। বইপড়া কর্মসূচি সদস্যদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এসকল সভায় শিক্ষক, অভিভাবক এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভাগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীরা বইপড়ার গুরুত্ব ও লাইব্রেরি উন্নয়নের তাদের বক্তব্য তুলে ধরেছে। উপস্থিত বক্তাদের সকলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরির উন্নয়নে প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি অনুধাবন করে বক্তব্য প্রদান করেন। ২০৪১ সালের মধ্যে যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি তা বাস্তবায়নে মননশীল, সুশিক্ষিত, উন্নত জাতি গড়তে হলে পড়–য়া সমাজ গঠনের বিকল্প নেই। জ্ঞান নির্ভর সমাজ গঠন করতে বইপড়ার অভ্যাস বাড়াতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই এই অভ্যস গড়ে তুলতে ছাত্র-ছাত্রীদের লাইব্রেরিমুখি করতে হবে।