বেরোবির মূলফটক ১ মাস বন্ধ, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা, বিভিন্ন মহলের ক্ষোভ

ইভান চৌধুরী, বেরোবি প্রতিনিধি,বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য মূলফটক (১নং বা একাডেমিক গেট) একমাস থেকে বন্ধ করে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারিদের।

নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ফটকটি বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মীর তামান্না ছিদ্দিকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অধিদপ্তর। তবে কী ধরনের নিরাপত্তা সেটার ব্যাপারে কিছইু বলেনি প্রশাসন। ফটক বন্ধ থাকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী বলেন, একটা ঘটনা ঘটেছে অনেক দিন হলো। এর অজুহাতে ফটকটি বন্ধ রাখার কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে মনে করি না। এটা চরম দু:খজনক।
তিনি আরো বলেন, যাদের (এলাকাবাসির) সাথে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিলো এবং সেটার সমাধানও হয়েছে। এ বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলেও কোনো আলোচনা হয়নি শুধু এটা উপাচার্যের একক সিদ্ধান্তে ফটকটি বন্ধ রাখা হয়েছে ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সংগঠন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সামসুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কিছুই হবে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে। যদি নিরাপত্তার কথা বলা হয় তাহলে গেটটিতে নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা উচিৎ। নিরাপত্তার অজুহাতে গেট বন্ধ রাখা উচিৎ নয়।

এ বিষয়ে প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমকে জিজ্ঞেস করলে বলেন, প্রক্টর ও উপাচার্যের নির্দেশে ফটকটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে প্রক্টর মীর তামান্না ছিদ্দিকা বলেন, নিরাপত্তার সার্থে গেটটি বন্ধ রাখা হয়েছে। খুলে দেওয়ার ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধাšত হয় নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থী সামিউল সামি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দীর্ঘ ১মাস গেটটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। অনেক দূর ঘুরে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে সময় লাগে। কয়েকদিন আমার দেরি হয়ে গেছে ক্লাসে ঢুকতে। দ্রুত গেটটি খুলে দিলে আমাদের অনেক সুবিধা হয়।’
রুম থেকে বের হতে দেরি হওয়ায় সময় বাচাতে কয়েকদিন দেয়াল টপকে ক্লাস করতে গেছেন বলেও জানান তিনি।

এই গেটের পাশে অবস্থানরত ব্যবসায়ীরা জানান, ‘গেটটি বন্ধ রাখায় শিক্ষার্থীরা এ গেট দিয়ে একেবারেই পারাপার হতে পারছে না। কাজেই আমাদেরও ব্যবসা হচ্ছে না। হয়ত গেটটি খুলে দেওয়া থাকলে আমাদের ব্যবসা ভালো হতো।’

এর আগে গত চার মার্চ ছাত্রলীগ-স্থানীয় ব্যবসায়ী সংঘর্ষের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নং ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফটকটি বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়ে শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসহ কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় ২২ ও ২৩ মার্চ সংবাদ প্রকাশিত হলে নির্বাহী প্রকৌশল দপ্তর শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা চিšতা করে ২৩ মার্চ ফটকটির ছোট গেটটি খুলে দেয়। গত ২৭ মার্চ পুরো ফটকটি শিক্ষার্থীদের জন্যখুলে দেয়ার কথা থাকলেও, বন্ধ করে দেওয়া হয় ছোট গেটটিও।

সর্বশেষ সংবাদ