নতুন প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত হতে রাষ্ট্রপতির পরামর্শ

বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার ও ব্যবহারে সবাইকে অভ্যস্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

সোমবার রাজধানীতে বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, “নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে তথ্য প্রযুক্তি খাতে প্রতিনিয়ত উন্নত প্রযুক্তির আবির্ভাব ঘটছে।

“বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হলে আমাদেরও নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার ও ব্যবহারে অভ্যস্ত হতে হবে।”

তথ্য প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে সরকার সার্বিক পদক্ষেপ নিয়ে বাস্তবায়ন করছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, আইসিটি এক্সপো-২০১৫ সর্বশেষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহারে উদ্যোক্তাদের জন্য অবারিত সুযোগের দ্বার উন্মোচন করবে।

আবদুল হামিদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। শিক্ষা ব্যবস্থায় তথ্য-প্রযুক্তির ব্যাপক সম্প্রসারণ ছাড়াও প্রশাসন, ব্যাংকিং, চিকিৎসা সেবা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং গণযোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম।

“তথ্যপ্রযুক্তি এখন জনগণের ক্ষমতায়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনের অন্যতম হাতিয়ার। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সেবা পৌঁছে গেছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির কাছে। এর ফলে নাগরিক জীবনে  স্বাচ্ছন্দ্য ও স্বস্তি এসেছে।”

হার্ডওয়্যার পণ্য উৎপাদনকারী দেশ হওয়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হল ‘বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো-২০১৫’। মেলার প্রতিপাদ্য ‘মিট ডিজিটাল বাংলাদেশ’।

সরকারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি যৌথভাবে তিন দিনের এই প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করেছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য দরকার মানব সম্পদ উন্নয়ন। আমাদের আছে অফুরন্ত তারুণ্যের শক্তি। আমরা এক লাখ তরুণকে দক্ষ প্রযুক্তিবিদ হিসেবে গড়ে তুলতে ট্রেইনিং কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।”

বাংলাদেশের ১১৮টি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিটি বিভাগে বিশেষায়িত কম্পিউটার ল্যাব স্থাপনের ঘোষণাও অনুষ্ঠানে দেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। সারাবিশ্বের কাছে বাংলাদেশ এখন পিছিয়ে পড়া দেশ নয়, বরং এগিয়ে থাকা দেশ।”

অনুষ্ঠানে বঙ্গভবনের ওপর একটি অ্যাপ উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি এ এইচ এম মাহফুজুল আরিফ।

অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রপতিকে মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। এর আগে অনুষ্ঠানে একটি বাংলাদেশের ইতিহাস, তথ্য-প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে একটি লেজার শো দেখানো হয়।

সর্বশেষ সংবাদ