আবু সাইদ বদলগাছী: প্রেম মানে না জাতকুল। যা পৃথিবী সৃষ্টি লগগ্ন থেকে চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় নওগাঁর বদলগাছীতে শ্রী চন্দন ভুঁইমালী(১৯) এর বাড়িতে প্রেমের টানে গাইবান্ধার মুসলিম পরিবারের দশম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রী(১৫) চলে আসায় প্রেমিক চন্দন প্রতারনা করে মেয়েটিকে রেখে পালিয়েছে। থানা পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করার পর প্রতারক প্রেমিক চন্দনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বদলগাছী উপজেলায় সেনপাড়া গ্রামে।
জানা যায়, গত সোমবার(১৫ জুন) প্রেমের টানে দুপুর ১২ টায় উপজেলার আধাইপুর ইউপির সেনপাড়া গ্রামে চন্দনের বাড়িতে আসে এই মেয়েটি। চন্দনের পরিবার বিষয়টি মেনে না নেওয়ায় মেয়েটি চন্বাদনের বাবা রঞ্জন কুমার ভুঁইমালীর দোকানের সামনে অবস্থান নেই। খবর পেয়ে থানা পুলিশ রাত ৯ টায় থানাপুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
মেয়েটি জানায়, প্রায় দের বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে চন্দন ভুঁইমালীর সাথে পরিচয় হয়। এরপর ফেসবুকেই চলতে থাকে তাদের প্রেম। গত বছরের ২৬ মার্চ বগুড়ায় তারা সাক্ষাত করে। চলতি বছরের ৩মে চন্দনের কোনো এক আত্মীয়ের বাড়িতে হিন্দু রীতিতে মালা বদল করে তাদের বিয়ে হয়। এরপর চন্দন মেয়েটিকে নিয়ে তার বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে রাত্রি যাপন করে। এর পর মেয়েটি চন্দনকে তার বাড়িতে তোলার কথা বললে চন্দন যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
মামালার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দের বছর আগে ফেসবুকে চন্দন ভুঁইমালীর সাথে পরিচয় হয় গাইবান্ধা সদর উপজেলার মালিবাড়ী ইউপির ঐ মাদ্রসা ছাত্রীর। ১৪ জুন চন্দন বদলগাছী ইউপির জিয়ল ফতেজঙ্গপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান এর বাড়িতে মেয়েটিকে নিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করে। পরের দিন(১৫ জুন) সকালে মেয়েটিকে রেখে চন্দন পালিয়ে যায়। রাত আনুমানিক ৯ টায় পুলিশ চন্দনের বাবা শ্রী রঞ্জন কুমার ভুঁইমালীর দোকানের সামনে থেকে মেয়েটিকে থানায় নিয়ে গিয়ে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে। মঙ্গলবার(১৬ জুন) বিকেলে পরিবারের লোকজন এসে মেয়েটির মা বাদী হয়ে চন্দনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
বদলগাছী থানার অফিসার ইনর্চাজ চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে চন্দনের বিরুদ্ধে ঐ মেয়ের মা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছে। চন্দন ও মেয়েটিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।