রাজশাহী কলেজে পড়ুয়া ছাত্র মেয়ে সহ আটক তদবিরে ছাড়

সারোয়ার হোসেন,তানোর রাজশাহীঃ রাজশাহী কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র তানোর থেকে মেয়ে নিয়ে পালিয়ে যাবার সময় এলাকাবাসী তাদের কে আটক করে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ছেলে মেয়ে উভয় কে থানায় নিয়ে এসে কয়েক ঘন্টা তদবিরে ছেড়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বিকালের দিকে পৌর এলাকার কালীগঞ্জ হাট থেকে আটকের ঘটনাটি ঘটে। আটকের পর ছেড়ে দেবার কারনে এলাকাজুড়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। জানা গেছে উপজেলার পাচন্দর ইউপি এলাকার দেওলা ডাংগাপাড়া গ্রামের মৃত আমজেদ আলীর মেয়ে ফাতেমা জেলার চারঘাট উপজেলার ঝিকড়া গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর পুত্র সাজেদুলের সাথে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সাজেদুল রাজশাহী কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র। মেয়ে ফাতেমা কৃষ্ণপুর আদর্শ মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছেন । মেয়ে ফাতেমা জানান আমার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করে। এমনকি শুক্রবার বিকালে ছেলে পক্ষ দেখতে আশার কথা । এজন্যে আমি মোবাইল করে সাজেদুল কে ডেকে স্ব ইচ্ছায় পালিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু আমার ভায়েরা বিভিন্ন জায়গায় ফোন দিয়ে আমাকে কালীগঞ্জ মোড়ের লোকজন আটক করে থানায় খবর দেন । আমি বাড়ীতে যেতে চায়না । আমাকে বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হবে। কারন সাজেদুলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক জানার পর থেকে একাধিকবার ভায়েরা মারপিট করেন। এমন কি শুধু মাত্র প্রেমের কারনে আমার পড়ালেখা বন্ধ করে দিয়েছে। ছেলে সাজেদুল জানান আমাদের প্রেমের সম্পর্ক এক বছর ধরে চলছে। তাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিবে এজন্য আমরা বিয়ে করার উদ্দশ্যে পালিয়ে যাচ্ছিলাম। আমদের উভয়ের প্রাপ্ত বয়স হয়েছে। মেয়ের ভায়েরা জানান আমাদের বোনকে কোথাই বিয়ে দিলে ভাল হবে সেটা আমরা দেখব। ওসি রেজাউল ইসলাম বলেন উভয়ে প্রাপ্ত বয়স হলেও থানা বিয়ে দিতে পারেনা। মেয়ের ভায়েরা অঙ্গীকার নামা দেন এই বলে যে ছেলের বিরুদ্ধে কোন ধরনের মামলা করবেনা । এজন্যে উভয়ের পরিবারের লোকজন কে ডেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। মেয়ে বাড়ীতে যেতে চায় না বিয়ে করতে চাই তাহলে থানা থেকে কিভাবে ছাড়া যায় এবিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন মেয়ের ভায়েরা কোন মামলা করবেনা সে ক্ষেত্রে থানার কিছুই করনীয় থাকেনা । যার ফলে পরিবারের কাছে দেয়া হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ