ভুয়া অভিযোগে শ্রম দপ্তরের তদন্তের নির্দেশে বুড়িমারী স্থলবন্দরে শ্রমিকদের মধ্যে অস্থিরতা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি-দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরে ৩টি ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রমরত রয়েছে। ট্রেড ইউনিয়ন ৩টি হলো (১) বুড়িমারী স্থলবন্দর ও স্টেশন কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং রাজ—১৪৩৮, (২) বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং—রং—০২ ও (৩) বুড়িমারী স্থলবন্দর লোড আনলোড লেবার ইউনিয়ন রেজিঃ নং—রং—০৩।

গত ১০/০৫/২০২৩ইং তারিখে কে বা কারা বুড়িমারী স্থলবন্দর লোড আনলোড লেবার ইউনিয়নের সাধারণ সদস্য সাজ্জাদ হোসেন, পিতা—মোঃ দুলাল হোসেন, ওয়ার্ড—০৩, বুড়িমারী, পাটগ্রাম, লালমনিরহাট এর নাম, এনআইডি, মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে এবং স্বাক্ষর জালিয়াতি করে শ্রম মহাপরিচালক বরাবরে বুড়িমারী স্থলবন্দরে কার্যক্রমরত ৩ টি ট্রেড ইউনিয়নের কার্যকরী কমিটি কর্তৃক অর্থ আত্মসাৎ ও নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৮/০৫/২০২৩ইং তারিখে শ্রম দপ্তরের স্মারক নং—৪০.০২.০০০০.০৩৪.৯৯.০১১.১৮.৫৩৩ পত্র মতে উপ—পরিচালক, আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর, রংপুরকে সরেজমিনে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। উক্ত ভুয়া অভিযোগপত্রে সাজ্জাদ হোসেনকে ৩টি ইউনিয়নেরই সভাপতি দাবি করা হয়, যা শ্রম আইন পরিপন্থি এবং সম্পূর্ণ অবাস্তব ও কল্পনাপ্রসূত। ফলে ইউনিয়নটির সাধারণ সম্পাদকগণ সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য গত ১০/০৭/২০২৩ইং তারিখে শ্রম মহাপরিচালক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন। তার প্রেক্ষিতে গত ১৫/০৭/২০২৩ইং তারিখে শ্রম দপ্তরের স্মারক নং—৪০.০২.০০০০.০৩৪.৯৯.০১১.১৮.৫৮৬ পত্রের আলোকে বুড়িমারী স্থলবন্দরের উল্লেখিত ৩টি ইউনিয়ন ও সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করা হয়। সে নির্দেশের প্রেক্ষিতে গত ১৮/০৭/২০২৩ইং তারিখে আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর, রংপুর স্মারক নং—৪০.০২.৮৫০০.৩১১.৩৭.০১৭.২৩.৪৯৪ এর মাধ্যমে আগামী ১৬/০৮/২০২৩ইং তারিখে সরেজমিনে তদন্তের দিন ধার্য করেন।

কিন্তু গত ২৬/০৭/২০২৩ইং তারিখে রংপুরের আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের কর্মকর্তারা উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসলে অভিযোগকারী সাজ্জাদ হোসেন ১০/০৫/২০২৩ইং তারিখের অভিযোগের ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। এমনকি অভিযোগপত্রের স্বাক্ষরটিও তার নয় বলে জানান।

একটি ভুয়া, ভিত্তিহীন অভিযোগকে কেন্দ্র করে শ্রম দপ্তরের তদন্তের নির্দেশনাকে কেন্দ্র করে বুড়িমারী স্থলবন্দরের শ্রমিকদের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শ্রমিকরা জানান, স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বুড়িমারী স্থলবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিতে এ ভুয়া অভিযোগ দায়ের করেছে। বুড়িমারী স্থলবন্দরের শ্রমিকদের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টির মাধ্যমে অবৈধ ফায়দা হাসিলে তারা এমনটি করছেন। অতীতেও তারা নানা ষড়যন্ত্র করে বুড়িমারী স্থলবন্দরে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন। সাধারণ শ্রমিকরা অবিলম্বে তদন্ত কার্যক্রম বন্ধে করে এ কর্মকান্ডের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান।

সর্বশেষ সংবাদ