পর্দা উঠলো এশিয়ান আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও পর্যটন মেলার

নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা পণ্যের সমাহার ও পর্যটন সেবা নিয়ে শুরু হলো পাঁচ দিনব্যাপী ‘নবম এশিয়ান আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও পর্যটন মেলা-২০১৫’। গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে আন্তর্জাতিক মানের এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতিক বিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম। প্রদর্শনীর আয়োজনে রয়েছে সেমস গ্লোবাল।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এইচটি ইমাম বলেন, প্রদর্শনীতে দর্শনার্থীরা পণ্য শুধু দেখেন না, এখান থেকে পণ্য সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে পারেন। আর উৎপাদনকারীরা তাদের পণ্য প্রসারিত করার সুযোগ পান প্রদর্শনীতে।

পর্যটনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশে অনেক আকর্ষণীয় ও দর্শনীয় স্থান রয়েছে। যেখানে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আমাদের দর্শনীয় এসব স্থানে সব সময় যাওয়া উচিত। উদাহরণ হিসেবে তিনি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেটের দর্শনীয় স্থানের কথা তুলে ধরেন।

প্রদর্শনী স্থান বসুন্ধরা কনভেনশন সিটির প্রশংসা করে তিনি বলেন, বিশ্বরোড থেকে একটু দূরে এত সুন্দর জায়গায় এ ধরনের প্রদর্শনী হওয়ায় দর্শনার্থীদের মন ভরে যাবে। আমাদের দেশে যে অবকাঠামোর উন্নয়ন হচ্ছে তারও প্রমাণ এটি।

 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, অনেক সময় পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ব্যবসায়ীদের। এ সমস্যা সমাধানে এফবিসিসিআইসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে। তবে এখানে সরকারের মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।

আয়োজকরা জানান, প্রদর্শনীতে প্রবেশে ফি ধরা হয়েছে ৩০ টাকা। এতে বাংলাদেশসহ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, সিঙ্গাপুর, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভুটান, মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনাম সহ মোট ১০টি দেশ অংশগ্রহণ করেছে।

এসব দেশের ১০০টি প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক্স, যোগাযোগ প্রযুক্তি, খাদ্য ও পানীয়, স্বাস্থ্য সেবা পণ্য, প্রসাধনী সামগ্রী, গৃহসামগ্রী, ফ্যাশন ও আনুসঙ্গিক, কারু ও হস্তশিল্প প্রদর্শন করবে। গ্লোবাল ইউএসএ এবং এশিয়া প্যাসিফিকের সভাপতি মেহেরুন এন ইসলাম জানান, এশিয়ান আন্তর্জাতিক ‘বাণিজ্য ও পর্যটন মেলা’ নামক সিরিজ এ মেলাটি এশিয়ার বিভিন্ন দেশ আয়োজন করে থাকে। এর মূল লক্ষ্য, এশিয়া অঞ্চলের ভেতরেও বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আর্থিক উন্নয়ন এবং উৎপাদনকারীদের জন্য একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করা।

আয়োজকর জানান, মেলায় বড় আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে লোকজ উৎসব। এ ছাড়া পুতুল নাচ, পিঠা, বায়োস্কোপ, ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও খাবার, কারুপণ্য এবং আদিবাসী জীবনধারার উপকরণ নিয়ে সাজানো হয়েছে প্রদর্শনীর আয়োজন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হুমায়ুন রশিদ, পিএইচডি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহসভাপতি শ্রী গোপাল এস জিয়োরাজকা।

সর্বশেষ সংবাদ