বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার সংকট,, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত

আবু সাইদ বদলগাছী: বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার সংকটের কারনে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয়ে পড়ছে। এ ছাড়া সারা দেশে যখন ডেঙ্গু আতংক বিরাজ করছে তখন বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু সনাক্ত করন কীট সরবরাহ নেই। তবে বদলগাছী উপজেলায় এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কোন রোগী পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডাঃ কানিস ফারহানা। তবে কুরবানী ঈদকে সামনে রেখে আগামী ৩/৪ দিনের মধ্যে ঢাকা থেকে অনেক চাকুরী জীবি বাড়ি ফিরবেন। এই অবস্থা বিবেচনায় রেখে ডেঙ্গু সনাক্তকরন কীট বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী হয়ে পরেছে। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দুরত্ব জেলা সদর হাসপাতাল। ঢাকা থেকে ঈদে বাড়ি ফিরে কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে তাকে চরম বিপাকে পরতে হবে। উপজেলার সচেতন মহল মনে করছেন এক্ষুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষকে ডেঙ্গু সনাক্তকরন কীট সংগ্রহে রাখা জরুরী। যেন ভবিষৎতে ডেঙ্গু মোকাবেলা করা সম্ভব হয়। বদলগাছী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা গেছে, অত্র কমপ্লেক্সে ২১ টি ডাক্তারের পদের স্থলে মাত্র ৩ জন ডাক্তার রয়েছে। আর মেডিক্যাল এ্যাসিস্ট্রেন্ট রয়েছে ৭ জন। তার মধ্যে কয়েক জন পেশনে অন্যত্র কাজ করছেন। এই অবস্থায় উপজেলায় ২ লক্ষ মানুষের জন্য চরম ডাক্তার সংকট দেখা দিয়েছে । ফলে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। মাত্র ৩ জন ডাক্তার থাকলে ও এক জন জুনিয়র অর্থপেডিক বিশেষজ্ঞ ডাঃ সাদাত হোসেন সেলিম সপ্তাহে ২/৩ দিনের বেশি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগি দেখেন না। আবার রোগিদের সঙ্গে তেমন একটা ভাল ব্যাবহার ও করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে সারা দেশে ডেঙ্গু নিয়ে অতংক ছড়িয়ে পরলে ও স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা সহ কোন ডাক্তার কর্মস্থলে অবস্থান করেন না। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গোপন একটি সুত্র জানিয়েছে ডাক্তারেরা কর্মস্থলে অবস্থান না করলে ও প্রত্যেকের নামে আবাসিক কোয়ার্টার বরাদ্দ নেওয়া রয়েছে। যাতে করে চাকুরী বিধি অনুয়ায়ী কোন জটিলতা সৃষ্টি হলে সহজেই পার পাওয়া যায়। এলাকাবাসীর দাবী সকল ডাক্তার যেন কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করেন।
এবিষয়ে স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডাঃ কানিস ফারহানার সাথে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ডেঙ্গু সনাক্ত করনে কীট না থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা হয়েছে সে যেখান থেকেই হোক কীট সংগ্রহ করে দিতে চেয়েছেন বলে জানান। আর কর্মস্থলে অবস্থান না করার বিষয়টি এড়িয়ে যান।

সর্বশেষ সংবাদ